বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল বর্ধমানের
প্রশাসনিক সভা শেষে কলকাতায় ফেরার পথে গাড়ি দুর্ঘটনা থেকে কোনমতে রক্ষা পেলেও
আহত অবস্থায় কলকাতায় ফিরে এসব জানালেন মমতা ব্যানার্জি।
যা ঘটেছিলঃ
বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা শেষ করে খারাপ আবহাওয়ার জন্য সড়কপথে গাড়িযোগে কলকাতার
উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেরার পথেই চোট পান মমতা।
পুলিশ জানায়,
মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি জিটি রোডে ওঠার সময়ে চালক হঠাৎ জোরে ব্রেক ধরে। ততেই
মূখ্যমন্ত্রীর কপাল গাড়ির ড্যাশ বোর্ডে ঠুকে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে
আচমকাই অন্য একটি গাড়ি ঢুকে পড়াতেই এই বিপত্তি বলে জানা যায়। আহত অবস্থাতেই
কলকাতায় ফিরে রাজভবনে রাজ্যপালের সাথে বৈঠক করতে যান মুখ্যমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে দুর্ঘটনা
প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জানি না ঠিক কী হল। আমরা একটা গলি দিয়ে বেরচ্ছি।
সামনে একটা গাড়ি প্রায় ২০০ স্পিডে যাচ্ছে। পুরো মরেই যেতাম। যে ড্রাইভার ছিল, ও
সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক কষে। তখন আমার মাথা ড্যাশবোর্ডে লাগে। রক্তও বেরিয়েছিল। তাই
নিয়ে কাজ করে গেলাম।
দুর্ঘটনার বর্ণনা দিতে
গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, তার গাড়ির কাঁচটা খোলা ছিল। একটা গাড়ি প্রায় ২০০
স্পিডে যাচ্ছিল। আঘাতের কারণে কিছুটা রক্তও পড়েছে। ফুলেও আছে। তাই নিয়ে আমি কাজ
করে গেলাম। আমার গাড়ির কাঁচটা যদি বন্ধ থাকত তাহলে ড্যাশবোর্ড কাচ সমেত আমার সারা
শরীরে ফুটে যেত। গাড়িটাও কিন্তু চুরমার হয়ে যেত। ব্রেকটা কষেছিল বলেই কোনমতে
মানুষের আশীর্বাদে বেঁচে গিয়েছি। মাথাটা এখনও টনটন করছে।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে এইভাবে আচমকা ভয়ংকর গতিতে অন্য গাড়ি চলে আসার পিছনে নাশকতার কোন সম্ভাবনা রয়েছে কিনা, সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মমতা ব্যানার্জি বলেন, এর আগেও বিএসএফের পোশাক পরে আমার বাড়িতে গিয়েছিল। অনেকেই মিস ইউজ করে। পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। আইন নিজের পথেই এগোবে।