ফাইল ছবি
এক লাফে চিনির দাম কেজিতে ৩০ টাকা বাড়িয়ে ১০০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) এর আগে টিসিবিতে চিনির দাম ছিল কেজি প্রতি ৭০ টাকা।
আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে টিসিবি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) থেকে ভর্তুকি মূল্যে এই পণ্য বিক্রি করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্নআয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে চালসহ টিসিবির পণ্য (ভোজ্যতেল ও ডাল) বিক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। রমজান উপলক্ষ্যে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সারা দেশে দ্বিতীয় পর্বের পণ্য বিক্রি শুরু হবে।
চিনির দর বাড়ানোর বিষয়ে নিয়ে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের বলেন, বাজারে এখন চিনির দাম বেশি। তাই এ দামের সঙ্গে সমন্বয় করতে টিসিবির চিনির দাম বাড়ান হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রামে এস আলমের চিনির গুদামে লাগা আগুনের প্রভাব বাজারে পড়বে না বলে আশ্বস্ত করা হলেও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। রাজধানীর খুচরা বাজারে অনেকটাই নিরবে কেজিপ্রতি ২ টাকা দাম বেড়েছে চিনির। বাড়তি খোলা চিনির দামও।
এমনিতেই রমজান মাসে বরাবরই চিনির চাহিদার সঙ্গে বাড়ে দাম। এবার চট্টগ্রামে চিনির গুদামে আগুনের উত্তাপ ছড়িয়েছে বাজারে। হঠাৎই প্যাকেটজাত চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৪৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪৬ টাকা। আর খোলা চিনির বস্তায় বেড়েছে ৩০ টাকা পর্যন্ত।
এক বিক্রেতা বলেন, ‘খোলাটা (চিনি)
এখন আমরা কিনতে পারি ৬ হাজার ৭০০ টাকায়। আমরা প্রতিকেজি খোলা চিনি বিক্রি করছি ১৪০ টাকায়। আমাদের কেনা পড়েছে ১৩৮। এখন আবার দুই টাকা করে বাড়িয়েছে। ১৪০ টাকা কেনা, ১৪২ টাকা বিক্রি। এমআরপি হলো ১৪৬ টাকা। কোম্পানিগুলো তো আবার আমাদের কাছে জবাবদিহি করেনা, যে কী কারণে দাম বাড়ল। এখনই যদি সরকার উদ্যোগ না নেয় তাহলে এটা ৫–৬ টাকাও বাড়তে পারে।